নোয়াখালীতে ‘স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণ’
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে মারধরসহ দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার পর একজনকে আটক করেছে পুলিশ। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই নারী ও তার স্বামীকে। চর চব্বার থানার ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন, রোববার রাতে চরজুবিলী ইউনিয়নের মধ্যবাগ্যা গ্রামে এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে ’পূর্ব বিরোধের জেরে’ হামলা ও ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪০ বছর বয়সী ওই নারী বলেন, “রাত ১২টার দিকে একই এলাকার মোশারেফ, সালাউদ্দিন, সোহেলসহ ১০-১২ জন বাড়িতে এসে প্রথমে বসতঘর ভাংচুর করে। একপর্যায়ে তারা ঘরে ঢুকে আমার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্বামী (৫০) ও স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে (১২) বেঁধে রেখে ঘরের বাইরে নিয়ে আমাকে পিটিয়ে আহত করে এবং গণধর্ষণ করে। তার স্বামীও একই অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, মোশারফ, সালাউদ্দিন ও সোহেলসহ ১০-১২ জন ঘর-দুয়ার ভাংচুর করে। ঘরে ঢুকে প্রথমেই আমাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে আমাকে ও আমার স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে বেঁধে রেখে আমার স্ত্রীকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করে। আর তাকে তারা পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। ধর্ষণকারীরা চলে যাওয়ার পর তিনি মুখের বাঁধন খুলে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে তাদের উদ্ধার করেন বলে তিনি জানান। তিনি অটোরিকশা চালান বলে জানান। তাদের শরীরে মারধরের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম।
তিনি বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে এক নারী সোমবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তবে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পরীক্ষার-নিলীক্ষার পর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি নিজাম উদ্দিন।
তিনি বলেন, সব আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আসামিরা হলেন মধ্যবাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও সালাউদ্দিন।
জেলার পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”